Class IX Bengali WBBSE - Kalinga Deshe Jhor Brishti Discussion by Kaushiki Das
- Sadhguru
- Feb 17
- 15 min read
Shree Siksha is a visionary project by Sadhguru Education for Every People. Shree Shiksha, Sadhguru's vision is to illuminate minds through selfless service. In the heart of Shree Siddhashram, Sadhguru's visionary spirit breathes life into 'Shree Shiksha,' a transformative seva program extending educational assistance to the underprivileged.

Shree Siksha | Question Answer and Discussion | January 01, 2025
Part 0ne

Kaushiki Das, one of our Volunteers, consistently works on Education, selflessly helping the unprivileged people in society. She has an MA in Bengali. Her leadership in the Education Movement surely helps society.
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
MCQ Answers and Introductions
লেখক পরিচিতি
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী: জীবনী ও সাহিত্যকীর্তি
পরিচিতি:মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাংলা কবি। তিনি "চণ্ডীমঙ্গল কাব্য" (বা "অভয়মঙ্গল") রচনার জন্য বিখ্যাত, যা বাংলা মঙ্গলকাব্যের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তিনি বাংলার লোকজীবন, সমাজব্যবস্থা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব রূপ অত্যন্ত সরল ও প্রাণবন্ত ভাষায় তুলে ধরেছেন।
জন্ম ও শৈশব:মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর জন্ম ১৫৪০ সালের আশপাশে (প্রায় ১৬শ শতকের মাঝামাঝি) বর্ধমান জেলার দামুনা গ্রামে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)। তিনি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
সাহিত্য জীবন:✔️ মুকুন্দরামের প্রধান রচনা "চণ্ডীমঙ্গল কাব্য", যেখানে দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য ও ভক্তদের প্রতি তার কৃপা ফুটে উঠেছে।✔️ এই কাব্যে "কালকেতু-ফুল্লরা" এবং "ধনপতি-শ্রীমন্ত" নামে দুটি মূল কাহিনি রয়েছে, যা বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।✔️ তার ভাষা সহজ, সাবলীল ও ছন্দময়। গ্রাম্য জীবনের টানাপোড়েন, কৃষকের দুর্দশা এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের নিখুঁত চিত্র তিনি এঁকেছেন।
ধর্ম ও সমাজচিন্তা:মুকুন্দরাম ছিলেন শাক্ত ধর্মানুসারী। তবে তার কাব্যে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জীবনের বাস্তবতা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি কৃষকের দুঃখ-দুর্দশা, জমিদারের অত্যাচার, ব্যাধ ও শিকারির জীবন ইত্যাদি অত্যন্ত প্রাণবন্তভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
মৃত্যু:মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না, তবে ধারণা করা হয় তিনি ১৬শ শতকের শেষভাগে বা ১৭শ শতকের প্রথম দিকে প্রয়াত হন।
উল্লেখযোগ্য রচনা:
🔹 চণ্ডীমঙ্গল কাব্য (অভয়মঙ্গল)
উপসংহার:মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বাংলা সাহিত্যের এক অমর কাব্যস্রষ্টা। তার "চণ্ডীমঙ্গল" শুধু ধর্মীয় আখ্যান নয়, বরং এটি বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির এক মূল্যবান দলিল। তার সাহিত্য আজও বাংলা ভাষার ঐতিহ্য ও লোকজীবনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে অনন্য।
বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন [MCQ] ও উত্তর
বহুবিকল্পনীয় উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:-
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:-
১) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটির রচয়িতা- ক) মুকুন্দ চক্রবর্তী খ) ভারতচন্দ্র রায় গ) দ্বিজমাধব চক্রবর্তী ঘ) মানিক দত্ত।
উত্তর:- ক) মুকুন্দ চক্রবর্তী।
২) মুকুন্দ চক্রবর্তীর আবির্ভাবকাল- ক) পঞ্চদশ শতাব্দী খ) ষোড়শ শতাব্দী গ) সপ্তদশ শতাব্দী ঘ) চতুর্দশ শতাব্দী।
উত্তর:- খ) ষোড়শ শতাব্দী।
৩) মুকুন্দ চক্রবর্তী মধ্যযুগের যে মঙ্গলকাব্য ধারার কবি, সেটি হল- ক) মনসামঙ্গল খ) চন্ডীমঙ্গল গ) ধর্মমঙ্গল ঘ) সূর্যমঙ্গল।
উত্তর:- খ) চন্ডীমঙ্গল।
৪) মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত কাব্যের নাম- ক) অন্নদামঙ্গল খ) শিবমঙ্গল গ) দুর্গামঙ্গল ঘ) কবিকঙ্কণ চন্ডী।
উত্তর:- ঘ) কবিকঙ্কণ চন্ডী।
৫) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি যে কাব্যের অন্তর্গত- ক) অন্নদামঙ্গল খ) চন্ডীমঙ্গল গ) মনসামঙ্গল ঘ) ধর্মমঙ্গল।
উত্তর:- খ) চন্ডীমঙ্গল।
৬) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশের কবি মুকুন্দের উপাধি- ক) খেলনকবি খ) রায়গুনাকর গ) কবিকঙ্কন ঘ) কেতকাদাস।
উত্তর:- গ) কবিকঙ্কন।
৭) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি চন্ডীমঙ্গল কাব্যের যে খন্ডের অন্তর্গত- ক) দেবখন্ড খ) বন্দনাখন্ড গ) আখেটিখন্ড ঘ) বণিকখন্ড।
উত্তর:- গ) আখেটিখন্ড
৮) “দেখিতে না পায় কেহ………..” শূন্যস্থানের সঠিক শব্দটি হল- ক) বাড়িঘর দুয়ার খ) লোকজন আপনার গ) অঙ্গ আপনার ঘ) প্রিয়জন আপনার।
উত্তর:- গ) অঙ্গ আপনার।
৯) “দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার”।।- ‘আপনার’ বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে? ক) গুজরাটবাসীর খ) কলিঙ্গবাসীর গ) অযোধ্যাবাসীর ঘ) ধর্মনগরবাসীর।
উত্তর:- খ) কলিঙ্গবাসীর।
১০) “………….উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর”।– ক) পবনে খ) ঈশানে গ) উত্তরে ঘ) পূর্বে।
উত্তর:- খ) ঈশানে।
১১) ‘চিকুর’ শব্দটি কাব্যাংশে যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- ক) মেখ খ) বৃষ্টি গ) বিদ্যুৎ ঘ) মেঘের গর্জন।
উত্তর:- গ) বিদ্যুৎ।
১২) “ঈশানে উড়িল মেঘ”- ‘ঈশান কোণ’ বলতে বোঝায়- ক) উত্তর-পূর্ব কোণ খ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ গ) উত্তর কোণ ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ।
উত্তর:- ক) উত্তর-পূর্ব কোণ।
১৩) “নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন-মন্ডল”।– ‘নিমিষেকে’ শব্দটির অর্থ- ক) মুহুর্তের মধ্যে খ) এক দিনে গ) শেষকালে ঘ) কালো বর্ণে।
উত্তর:- ক) মুহুর্তের মধ্যে।
১৪) “……….মেখ ডাকে দুর দুর”।– মেঘ যেখানে ডাকে- ক) দক্ষিণ আকাশে খ) উত্তর পবনে গ) পশ্চিম আকাশে ঘ) পূর্ব পবনে।
উত্তর:- খ) উত্তর পবনে।
১৫) “………..উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ”।– ক) ঈশানে খ) কলিঙ্গে গ) গগনে ঘ) নিরবধি।
উত্তর:- খ) কলিঙ্গে।
১৬) “চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল”।।- এখানে ‘চারি মেঘ’ কথাটির অর্থ- ক) মেঘের চারটি রূপ খ) বিচরণশীল মেঘ গ) গর্জনশীল মেঘ ঘ) ঘন মেঘ।
উত্তর:- ক) মেঘের চারটি রূপ।
১৭) “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ”।– কোন প্রজাদের কথা বলা হয়েছে? ক) গুজরাটবাসী খ) কলিঙ্গবাসী গ) ধর্মনগরবাসী ঘ) কৃষ্ণনগরবাসী।
উত্তর:- খ) কলিঙ্গবাসী ।
১৮) “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ”।– প্রজাদের বিষাদের কারণ কি? ক) কলিঙ্গে ঝড়বৃষ্টি খ) কলিঙ্গে ভূমিকম্প গ) কলিঙ্গে অগ্নিসংযোগ ঘ) কলিঙ্গে খরা।
উত্তর:- ক) কলিঙ্গে ঝড়বৃষ্টি।
১৯) “হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়”।– ‘হুড় হুড় দুড় দুড়’ শব্দের দ্বারা বোঝানো হয়েছে- ক) বৃষ্টির শব্দ খ) বাজের শব্দ গ) ঝড়ের শব্দ ঘ) মেঘের শব্দ।
উত্তর:- গ) ঝড়ের শব্দ।
২০) “ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়”।।- ‘রড়’ শব্দটির অর্থ- ক) আনন্দে খ) বিপাকে গ) দুঃখে ঘ) ভয়ে।
উত্তর:- খ) বিপাকে।
২১) “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়”।।- ‘রড়’ শব্দটির অর্থ- ক) পালানো খ) কাঁদা গ) হাসি ঘ) দুঃখ।
উত্তর:- ক) পালানো।
২২) “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়”।।- পঙ্কতিটিতে যে ধরনের বিপদের কথা বলা হয়েছে, সেটি হল- ক) চারদিক হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এসেছে খ) মুশলধারে বৃষ্টি পড়ছে গ) ভয়াবহ ঝড় এসেছে ঘ) সবকটিই ঠিক।
উত্তর:- ঘ) সবকটিই ঠিক।
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর-
১) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি কার লেখা, কোন কাব্যের অন্তর্গত?
উত্তর:- ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘চন্ডীমন্ডল’ কাব্যের অন্তর্গত।
২) মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যটি অন্য কী কী নামে পরিচিত?
উত্তর:- মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যটি ‘অভয়ামঙ্গল’, ‘চন্ডিকামঙ্গল’, ‘কবিকঙ্কন চন্ডী’, ‘অম্বিকামঙ্গল’ প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
৩) মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যটির ক-টি খন্ড ও কী কী?
উত্তর:- মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যটির দুটি খন্ড, যথা- আখেটিক খন্ড এবং বণিক খন্ড।
৪) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ চন্ডীমঙ্গল কাব্যের কোন খন্ডের অন্তর্গত?
উত্তর:- ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি ‘চন্ডীমঙ্গল’ কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত।
৫) “দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার”।।- কলিয়ঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না কেন?
উত্তর:- চারদিকের আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে গেছে, ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন না।
৬) “চারি মেঘে মুষলধারে জল”।– ‘চারিমেঘ’ কী কী?
উত্তর:- ‘চারি মেঘ’ হল মেঘের চারটি রূপ- সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর এবং দ্রোণ।
৭) উচ্চনাদে কলিঙ্গে কিসের ডাক শোনা গিয়েছে?
উত্তর:- ঘন মেঘে ঢাকা কলিঙ্গের আকাশে জোরে জোরে মেঘের ডাক শোনা গিয়েছে।
৮) “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ”।– মন্তব্যটির অর্থ লেখো। অথবা কলিঙ্গের প্রজাদের মন বিষাদগ্রস্ত কেন?
উত্তর:- চারদিক মেঘে ঢাকা অবস্থায় মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘনঘন মেঘের ডাকে প্রজারা ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কায় বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
৯) “হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়”।– উক্তিটির তাৎপর্য কী?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটিতে কলিঙ্গদেশে মেঘের প্রবল গর্জন এবং মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিল তার ভয়ানক রূপ প্রকাশ পাচ্ছে।
১০) “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়”।– কোন বিপাকে পড়ে প্রজারা পালিয়েছিল?
উত্তর:- মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ংকর ঝড়ের তান্ডব শুরু হওয়ায় আসন্ন বিপদের কথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল।
১১) শ্রীকবিকঙ্কণ কার উপাধি?
উত্তর:- শ্রীকবিকঙ্কণ ‘চন্ডীমঙ্গল’ কাব্যধারার শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর-
১) “দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার”।।- কখন এবং কেন এরকম হয়েছিল?
উত্তর:- প্রসঙ্গ: কবিকঙ্গণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর আলোচ্য কবিতায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল।
কারণ: হঠাৎই কলিঙ্গদেশে ভয়ংকর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশে অন্ধকারে ঢেকে যায়। কালো মেঘের বুক চিরে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে, তা ভেদ করে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।
২) “ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর”।–‘ঈশান’ শব্দটির অর্থ লিখে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- ‘ঈশান’ শব্দের অর্থ: কবিকঙ্কণ রচিত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত ‘ঈশান’ শব্দের অর্থ উত্তর-পূর্ব কোণ।
তাৎপর্য: কলিঙ্গদেশে আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা। প্রবল ঝড়বৃষ্টি কলিঙ্গদেশে সর্বনাশ ডেকে আনে। ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। প্রজারা সেই অন্ধকার নিজেদেরকেও দেখতে পায় না। মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। উদ্ধৃতাংশটিতে সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বর্ণনা হয়েছে।
৩) “নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন-মন্ডল”।– ‘নিমিষেকে’ কথাটির অর্থ কী? গগন মন্ডলে এর ফলে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হল?
উত্তর:- ‘নিমিষেকে’ কথার অর্থ: ‘নিমিষেকে’ কথাটির অর্থ মুহুর্তের মধ্যে।
সৃষ্ট পরিস্থিতি: কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া পঙ্কতিটিতে কলিঙ্গদে্শে ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টির বর্ণনা করা হয়েছে। অতি অল্পসময়ে কলিঙ্গের আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। ঈশান কোণে ঘন অন্ধকারের মধ্যে বিদ্যুতের ঝলকে আকাশ কেঁপে ওঠে। মেঘের গর্জন শোনা যায়। মুহুর্তের মধ্যে কালো মেঘ ছেয়ে গিয়ে চারিদিক অন্ধকারে ঢেকে দেয়।
৪) “চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল”।।-মুষলধারে জলবর্ষণের কারণ কী?
উত্তর:- জলবর্ষণের কারণ: কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশের আকাশ হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। গাঢ় অন্ধকারে নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পান না কলিঙ্গবাসী। ঈশান কোণে ঘন মেঘের জমায়েতে চারদিক অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। প্রবল মেঘের গর্জন, ঘনঘন বিদ্যুতের ঝিলিকে পৃথিবী কেঁপে ওঠে। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ শোনা যায়। মুহুর্তের মধ্যে সারা আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। তারপরই মেঘে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয় কলিঙ্গদেশে।
৫) “কলিঙ্গ উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ”।– কলিঙ্গের অবস্থান উল্লেখ করে উদ্ধৃতাংশটির ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- কলিঙ্গের অবস্থান: বর্তমান ওড়িশার বেশির ভাগ অংশ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর ভাগ এবং মধ্যপ্রদেশের কিছুটা অংশ জুড়ে ছিল প্রাচীন এই কলিঙ্গদেশ।
ব্যাখ্যা: কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্লাবনের বর্ণনা করা হয়েছে। কলিঙ্গের আকাশ আচমকা ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ঈশান কোণে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গেই কালো মেঘরাশিতে আকাশ ঢেকে যায়। মেঘের প্রবল গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। সমগ্র কলিঙ্গ মেঘের গুরুগম্ভীর শব্দে কেঁপে ওঠে।
৬) “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ”।– প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রজাদের বিষাদের কারণ আলোচনা করো।
উত্তর:- প্রসঙ্গ: ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে কলিঙ্গদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে।
বিষাদের কারণ: কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে ঈশান কোণে জমাটবাঁধা মেঘ সারা আকাশ ঢেকে ফেললে সর্বত্র অন্ধকার নেমে আসে। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ ভেসে আসে। মেঘের প্রবল গর্জন ও ঘনঘন বিদ্যুৎচমকের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় প্রজারা আতঙ্কিত ও বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
৭) “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়”।।- ‘রড়’ শব্দের অর্থ কী? কোথাকার প্রজারা কী কারণে বিপাকে পড়েছিল?
উত্তর:- ‘রড়’ শব্দের অর্থ: ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লিখিত ‘রড়’ শব্দের অর্থ ‘পালিয়ে যাওয়া’।
বিপাকে পড়ার কারণ: দেবী চন্ডীর ইচ্ছা অনুযায়ী কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টি বিপর্যয় ডেকে আনে। আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়। ঘন অন্ধকারে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর গর্জন ও ঝড়ের তান্ডবে সেখানকার প্রজাদের বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:-
১) “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ”।– কী দেখে প্রজাদের প্রলয় মনে হয়েছিল? এই প্রলয়ের ফলে কী হয়েছিল?
উত্তর:- উদ্দিষ্ট দৃশ্য: মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ নামক কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশের আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। উত্তর-পূর্ব কোণে মেঘের সঙ্গে দেখা দেয় বিদ্যুৎচমক। চারদিকে মুশলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। এই সব দেখৈই প্রজাদের মনে প্রলয়ের আশঙ্কা তৈরী হয়।
প্রলয়ের ফল: কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা দেয়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুষয়ধারায় বৃষ্টি। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্যক্ষেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে পথঘাট জলে ডুবে যায়। ঘোর অন্ধকারে দিন-রাত্রির পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। ভীত প্রজারা এই ভয়াবহ দুযোর্গ থেকে রক্ষা পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। সাত দিন ধরে একটানা বৃষ্টির ফলে কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে সমস্ত নদনদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে। পর্বতের মতো উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। দেবী চন্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় শেষপর্যন্ত কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।
২) “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়”।।- এখানে কোন অঞ্চলের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে? কী কারণে তারা বিপাকে পড়েছিল? তাদের পরিণতি কী হল?
উত্তর:- উদ্দিষ্ট অঞ্চলের প্রজা: কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটিতে কলিঙ্গদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে।
বিপাকে পড়ার কারণ: কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। কলিঙ্গের আকাশ ছেয়ে যায় ঘন কালো মেঘরাশিতে। মেঘের গম্ভীর গর্জনের সঙ্গে বিদ্যুতের চমকে কেঁপে ওঠে আকাশ। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর শব্দ শোনা যায়। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের প্রবল তান্ডব শুরু হয়। এর ফলে ওখানাকার প্রজারা বিপাকে পড়ে।
পরিণতি: সাত দিন ধরে ঝড়বৃষ্টির প্রবল তান্ডবে কলিঙ্গবাসীর অবস্থা হয় শোচনীয়। প্রাণ বাঁচাতে প্রজারা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে সবুজ মাঠ এবং গাছপালা ধুলোয় ঢেকে যায়। ঝড়ে খেতের শস্য উপড়ে যাওয়ায় প্রজারা ভয় পায়। রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়। মেঘের ভয়ংকর আওয়াজে প্রজারা কেউ কারো কথা শুনতে পায় না। আতঙ্কিত প্রজারা বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় ঋষি জৈমিনিকে করতে থাকে। প্রবল বর্ষনে দিন-রাতের পার্থক্য দূর হয়, প্রজারা সূর্যের আলো দেখতে পায় না। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। ঝড়বৃষ্টির এই প্রবল তান্ডব কলিঙ্গদেশের জনজীবন বিপন্ন করে তোলে।
শব্দার্থ ও টীকা:-
ধূলে: ধূলোয়
আচ্ছাদিত: ঢাকা পড়া
হরিত: সবুজ বর্ণ, এক্ষেত্রে সবুজ মাঠ, গাছপালা
উলটিয়া: উলটে
চমকিত: চমকে উঠছে এমন
গজরাজ: হাতিশ্রেষ্ঠ
অষ্ট গজরাজ: পুরাণ অনুযায়ী আটটি দিকের রক্ষাকর্তা আটটি গজ বা হাতি। এরা হল ঐরাবত, পুন্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক।
বেঙ্গ-তড়কা: বেঙ্গ-ব্যাং, তড়কার অর্থ আক্ষেপ, বিক্ষেপ, বজ্রাঘাত, ব্যাঙের মতো থেকে তড়াক তড়াক করে লাফিয়ে পড়ে যে বাজ।
বাজ: বজ্র
বরিষে: বর্ষণ করছে
করি-কর: হাতির শুঁড়
মহী: পৃথিবী
একাকার: এক হয়ে গেছে এমন
পরিচ্ছিন্ন: বিভক্ত, বিচ্ছিন্ন
রজনী: রাত্রি
সোঙরে: স্মরণ করে
জৈমিনি: এই বাকসিদ্ধ ঋষি পূর্ব মীমাংসাদসর্শন-এর রচয়িতা। বেদের কর্মকান্ডের সূত্রগুলিকে সুসংবদ্ধ ও সংশোধন করা তাঁর প্রধান কৃতিত্ব। ভাগবত অনুযায়ী তিনি ব্যাসের শিষ্য। জৈমিনি রচিত মহাভারত জৈমিনি মহাভারত নামে পরিচিত। জৈমিনির নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়, এই বিশ্বাসে বজ্রপাতের সময় মানুষ তাঁর নামকীর্তন করে।
বহুকল্পনীয় প্রশ্ন ও উত্তর:-
১) কলিঙ্গে ঝড়বৃষ্টিতে ধুলোয় আচ্ছাদিত হল- ক)বাড়িঘর খ) মানুষ গ) সবুজ মাঠ ও গাছ ঘ) জলাশয়
উত্তর:- গ) সবুজ মাঠ ও গাছ।
২) “…..প্রজা চমকিত”।।-প্রজাদের চমকিত হওয়ার কারণ- ক) কলিঙ্গদেশে হঠাৎ ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে খ) ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপড়ে গেছে গ) সাত দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে ঘ) এমন মেঘের গর্জন তারা আগে কখনও শোনেনি
উত্তর:- খ) ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপড়ে গেছে।
৩) চারিদিকে মেঘে জল দিয়েছিলো- ক) অষ্ট গজরাজ খ) অষ্ট বালিকা গ) সপ্তহস্তী ঘ) মেঘ বালিকারা
উত্তর:- ক) অষ্ট গজরাজ।
৪) “…….বেঙ্গ-তড়কা বাজ”।।-‘তড়কা’ শব্দের অর্থ কী? ক) উড়ে বেড়ানো খ) লাফিয়ে পড়া গ) থেমে থাকা ঘ) বন্ধ থাকা
উত্তর:- খ) লাফিয়ে পড়া।
৫) “করি-কর সমান বরিষে জলধারা”।–‘করি-কর’ শব্দটির অর্থ- ক) হাতির শুঁড় খ) বাঘের ডাক গ) ঘোড়ার ডাক ঘ) বিড়ালের ডাক
উত্তর:- ক) হাতির শুঁড়।
৬) ‘জলে মহী একাকার’ হওয়ার ফলে কী হল? ক) পথ হারাল খ) বাড়ি ভাঙল গ) মানুষ ডুবে গেল ঘ) বাজ পড়ল
উত্তর:- ক) পথ হারাল
৭) “কারো কথা শুনিতে না পায় কোনো জন”।।- কারও কথা কেউ শুনতে না পাওয়ার কারণ কী? ক) মেঘের গর্জন খ) বৃষ্টির শব্দ গ) হাতির গর্জন ঘ) ঘোড়ার রব
উত্তর:- ক) মেঘের গর্জন।
৮) ঝড়বৃষ্টির বিপদে কলিঙ্গবাসী যাঁকে স্মরণ করেছে- ক) মহাদেব খ) জৈমিনি গ) ইন্দ্র ঘ) চন্ডী
উত্তর:- খ) জৈমিনি।
৯) “পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী”।–‘দিবস-রজনী’ পরিচ্ছিন্ন না থাকার কারণ- ক) আকাশ সর্বক্ষণ মেঘে অন্ধকার খ) কেউ বাড়ির বাইরে বেরোয়নি গ) দেবী চন্ডীর মায়ায় এমনটি ঘটেছে ঘ) নানা ঘটনায় কেমন করে দিন কেটে গেছে বোঝাই যায়নি
উত্তর:- ক) আকাশ সর্বক্ষণ মেঘে অন্ধকার।
১০) “কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি”।।- কলিঙ্গের মানুষ জৈমিনিকে স্মরণ করেছেন, কারণ- ক) তিনি বজ্রকে নিবারণ করতে পারেন খ) তিনি বৃষ্টি বন্ধ করার বিদ্যা আয়ত্ত করেছেন গ) তিনি তাঁদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন ঘ) জৈমিনি তাঁদের রাজা, বিপদে তিনিই সাহায্য করতে পারেন
উত্তর:- ক) তিনি বজ্রকে নিবারণ করতে পারেন।
১১) “কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি”।।- ‘সোঙরে’ শব্দের অর্থ- ক) স্মরণ করা খ) ভুলে যাওয়া গ) অভিশাপ দেওয়া ঘ) গান করা
উত্তর:- ক) স্মরণ করা।
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর:-
১) “ধূলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত”- লাইনটির অর্থ লেখো।
উত্তর:- উদ্ধৃত পঙক্তিটির অর্থ হল সবুজ শস্যক্ষেত ধুলোয় ঢেকে গেল।
২) “………প্রজা চমকিত”।।-কোথাকার প্রজা কেন চমকিত হল?
উত্তর:- বিধ্বংসী ঝড়বৃষ্টির তান্ডবে সমগ্র কলিঙ্গদেশ ধুলোয় ঢেকে যায় এবং প্রবল দুযোর্গে শস্যক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানকার প্রজারা চমকিত হয়।
৩) “চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ”।– ‘চারি মেঘ’- নাম লেখো।
উত্তর:- ‘চারি মেঘ’ হল সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর এবং দ্রোণ।
৪) চার দিকে মেঘে জল দেয় কারা?
উত্তর:- কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সময় চারদিকে মেঘে জল দিয়েছিল ‘অষ্ট গজরাজ’ বা আটটি শ্রেষ্ঠ হাতি।
৫) জলধারার বর্ষণকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর:- জলধারার প্রবল বর্ষনকে করি-কর অর্থাৎ হাতির শুঁড় দিয়ে জল ঢালার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৬) “করি-কর সমান বরিষে জলধারা”- ‘করি-কর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর:- ‘করি’ শব্দের অর্থ ‘হাতি’ ও ‘কর’ অর্থ হাত। কিন্তু ‘করি-কর’ এই শব্দবন্ধে উল্লিখিত অংশে হাতির শুঁড় বুঝিয়েছে।
৭) “কারো কথা শুনিতে না পায় কোনো জন”।।-কারও কথা শুনতে না পাওয়ার কারণ কী?
উত্তর:- প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বারবার মেঘের প্রবল গর্জনে কলিঙ্গবাসীরা কেউ কারও কথা শুনতে পাচ্ছিল না।
৮) মেঘ ঝড়বৃষ্টির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী কার কথা স্মরণ করেছেন? অথবা কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করে কেন?
উত্তর:- মেঘ ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতেরও হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনির কথা স্মরণ করেছেন।
৯) জৈমিনি কে?
উত্তর:- ঋষিপুরুষ জৈমিনি হলেন দর্শনের রচয়িতা এবং ব্যাসদেবের শিষ্য।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর:-
১) “জলে মহী একাকার পথ হইল হারা”।।- কোথাকার পথ কেন হারিয়ে গিয়েছে?
উত্তর:- উদ্দিষ্ট পথ:- ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে কলিঙ্গদেশের পথ হারিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পথ হারানোর কারণ:- কলিঙ্গের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘরাশি জমাট বাঁধে আর মেঘের প্রবল গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি আর মুশলধারায় বৃষ্টি। মনে হয়, আটটি হাতি যেন প্রবলবেগে জল বর্ষন করে পৃথিবীকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। প্রচন্ড বৃষ্টিতে সমগ্র কলিঙ্গদেশ জলে ডুবে যায়। জল-স্থলের পার্থক্য মুছে গিয়ে কলিঙ্গদেশে পথ হারিয়ে যায়।
২) “পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী”।–‘পরিচ্ছিন্ন’ শব্দের অর্থ কী? কবি এরকম বলেছেন কেন?
উত্তর:- ‘পরিচ্ছিন্ন’ কথার অর্থ:- কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় পাওয়া ‘পরিচ্ছিন্ন’ শব্দটির অর্থ হল ‘বিভেদ’ বা ‘পার্থক্য’।
কবির এরকম বক্তব্যের কারণ:- দেবী চন্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। সমগ্র আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে জল-স্থল একাকার হয়ে পথ হারিয়ে যায়। অন্ধকার এতটাই নিবিড় হয়ে যায় যে দিন এবং রাত্রিকেও কেউ আলাদা করতে পারে না।
৩) “চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ”।– উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- তাৎপর্য:- কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় দেবী চন্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। প্রবল মেঘগর্জনে প্রজারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঝড়ের তান্ডবে তারা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সবুজ শস্যের ক্ষেত ধুলোয় ঢেকে যায়। বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে কবি মনে করেন, আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি- ঐরাবত, পুন্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক যেন তাদের শুঁড়ের সাহায্যে চারমেঘ জল দিচ্ছে। আর তার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতে চারপাশ জলে ডুবে গেছে।
৪) “কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি”।।- জৈমিনি কে? কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী?
উত্তর:- জৈমিনির পরিচয়:- ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে উল্লিখিত জৈমিনি হলেন এক বাকসিদ্ধ ঋষি পূর্ব মীমাংসাদর্শন-এর রচয়িতা। বেদের কর্মকান্ডের সূত্রগুলিকে সুসংবদ্ধ ও সংশোধন করা তাঁর প্রধান কৃতিত্ব।
কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ:- কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘ জমে ওঠে। আকাশভাঙা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে মুশলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তান্ডবে কলিঙ্গবাসী ভীত হয়ে হয়ে পড়ে। এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় তারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে।
বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:-
১) “ধূলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত”।– যে পরিস্থিতিতে কবি এ কথা লিখেছেন তা উল্লেখ করো। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য কলিঙ্গবাসীরা কী করত?
উত্তর:- উদ্ভূত পরিস্থিতি: মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় দেবী চন্ডীর আদেশে কলিঙ্গদেশে সৃষ্ট ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বর্ণনা রয়েছে। হঠাৎ কলিঙ্গদেশের আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। দেখা যায় ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি। মেঘের গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় মুশলধারায় বৃষ্টি। এই সময় প্রবল বাতাসে সবুজ বাতাসে সবুজ শস্যক্ষেত ধূলোয় ঢেকে যায়। খেতের শস্য ঝড়ের দাপটে উপড়ে যায়, প্রজারা এই বিপর্যয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে। এত প্রবল বর্ষণ শুরু হয় যে মনে হয় “চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ”। বিদ্যুৎ চমকের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতও হতে থাকে। সাত দিন ধরে একটানা বৃষ্টিপাতে সব কিছু জলমগ্ন হওয়ার পথ হারিয়ে যায়। মেঘের ঘনঘন গর্জনে কেউ কারোর কথা শুনতে পায় না। দিন এবং রাত্রির পার্থক্যকে ঘন অন্ধকারে আলাদা করা যায় না। এইভাবে এক বিপজ্জ নক পরিস্থিতি তৈরি হয় কলিঙ্গদেশ জুড়ে।
কলিঙ্গবাসীর কৃতকাজ: প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশে নেমে আসে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। জল-স্থলের পার্থক্য মুছে গিয়ে সব-কিছু একাকার হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়ে। অনেকে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। শঙ্কিত কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করে। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল যে তাঁকে স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হবে এবং কলিঙ্গে শান্তি ফিরে আসবে।
শব্দার্থ ও টীকা:-
রবির কিরণ: সূর্যের আলো
বুলে: বল-বোল্ল-বুল-বুলে-বেড়ায়
নিরবধি: সর্বদা, সবসময়
আছুক: থাকুক
হেজ্যা: জলে ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া
মেঝ্যাতে: মেঝেতে, মাটিতে
ভুজঙ্গ: সাপ
নিরন্তর: অবিরাম
শিল: শিলাবৃষ্টির শিলা
চাল: বাঁশ, টিন, খড় ইত্যাদির তৈরি ঘরের ছাদ বা আচ্ছাদন
দলমল: টলমল
অম্বিকামঙ্গল: মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যের নাম
শ্রীকবিকঙ্কণ: চন্ডীমঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি
বিদারিয়া: ভেদ করে
ধায়: ছোটে
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:-
১) “না পায় দেখিতে কেহ……”- ক) কলিঙ্গদেশে খ) রবির কিরণ গ) পথকষ্ট ঘ) ঘরগুলো
উত্তর:- খ) রবির কিরণ।
২) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে উল্লিখিত ‘রবি’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হল- ক) সলিল, নীর খ) অম্বর, গগন গ) তপন, ভানু ঘ) পবন, সমীরণ
উত্তর:- গ) তপন, ভানু
৩) “……ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে”।– ভুজঙ্গ যেখানে ছিল- ক) গাছের ডালে খ) উঠোনে গ) গর্তে ঘ) সবুজ মাঠে
উত্তর:- গ) গর্তে।
৪) “গর্ত ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে”।– এখানে ‘বুলে’ শব্দের অর্থ- ক) আসে খ) চলে যায় গ) ডোবে ঘ) বেড়ায়
উত্তর:- ঘ) বেড়ায়।
৫) গর্ত ছেড়ে জলে ঘুরে বেড়িয়েছে- ক) ইঁদুর খ) পোকা গ) ব্যাং ঘ) সাপ
উত্তর:- ঘ) সাপ।
৬) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে একটানা কতদিন ঝড়-বৃষ্টি চলেছিল? ক) সাতদিন খ) পাঁচদিন গ) দশদিন ঘ) দুদিন
উত্তর:- ঘ) দুদিন।
৭) ঘরের চাল ভেদ করে বৃষ্টির সঙ্গে আর কী পড়েছে? ক) পাথর খ) শিল গ) মাটি ঘ) কাদা
উত্তর:- খ) শিল।
৮) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে একটানা শিল পড়াকে কীসের কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? ক) ভাদ্র মাসের তাল খ) বৈশাখ মাসের আম গ) শীতের শিউলি ঘ) শরতের কাশ
উত্তর:- ক) ভাদ্র মাসের তাল।
৯) “আচ্ছুক শস্যের কার্য হেজ্যা গেল ঘর”।। - এখানে ‘হেজ্যা’ শব্দের অর্থ- ক) ভেসে যাওয়া খ) ডুবে যাওয়া গ) জলে ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া ঘ) ভেঙে যাওয়া
উত্তর:- গ) জলে ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া।
১০) চন্ডীর আদেশে পান বীর হনুমান”।।- বীর হনুমান হলেন- ক) ইন্দ্রের পুত্র খ) ভীমের পুত্র গ) চন্ডীর পুত্র ঘ) পবনের পুত্র
উত্তর:- ঘ) পবনের পুত্র।
১১) চন্ডীর আদেশে কে মঠ অট্টালিকা ভেঙেছেন? ক) রাম খ) হনুমান গ) রাবণ ঘ) লক্ষ্মণ
উত্তর:- খ) হনুমান।
১২) বীর হনুমান কার আদেশে মঠ অট্টালিকা ভেঙেছেন? ক) চন্ডী ক) সীতা গ) মনসা ঘ) অন্নদা
উত্তর:- ক) চন্ডী।
১৩) “……..আদেশ পান বীর হনুমান”।– দেবী চন্ডী হনুমানকে যে আদেশ দিয়েছেন, তা হল- ক) কলিঙ্গদেশে বৃষ্টিবাদল বন্ধ করা খ) কলিঙ্গদেশে বড়ো বড়ো ঢেউ সৃষ্টি করা গ) কলিঙ্গদেশে ঘরে ঘরে অগ্নিসংযোগ করা ঘ) কলিঙ্গদেশের মঠ, অট্টালিকা চূর্ণবিচূর্ণ করা
উত্তর:- ঘ) কলিঙ্গদেশের মঠ, অট্টালিকা চূর্ণবিচূর্ণ করা।
১৪) ‘অম্বিকামঙ্গল গান’ গেয়েছেন- ক) দেবকীনন্দন খ) রবিকঙ্কন গ) শ্রীহরিকঙ্কন ঘ) শ্রীকবিকঙ্কন
উত্তর:- ঘ) শ্রীকবিকঙ্কন।
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর:-
১) “না পায় দেখিতে কেহ দেখিতে কেহ রবির কিরণ”।।- রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী?
উত্তর:- ভয়ংকর কালো মেঘে চারদিক ঢেকে গিয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কেউ সূর্যরশ্মি দেখতে পাচ্ছিল না।
২) গর্ত ছেড়ে কারা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে?
উত্তর:- প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৩) কলিঙ্গদেশে কত দিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল?
উত্তর:- কলিঙ্গদেশে টানা সাত দিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
৪) সাত দিনের বৃষ্টিতে কৃষিকাজ ও ঘরবাড়ির কী ক্ষতি হল?
উত্তর:- সাত দিনের বৃষ্টিতে শস্যক্ষেত জলে ডুবে যাওয়ার ফসল নষ্ট হয়ে গেল এবং প্রবল শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেল।
৫) “ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল”।।- কবি কোন বিষয়ের সঙ্গে এমন তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর:- প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ঘরের চাল ভেদ করে যে শিল মেঝেতে এসে পড়ে তার সঙ্গে ভাদ্র মাসের পাকা তালের তুলনা করা হয়েছে।
৬) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে শিল পড়াকে কিসের সঙ্গে তূলনা করা হয়েছে?
উত্তর:- ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে বড়ো আকারের শিল পড়াকে ভাদ্র মাসে তাল পড়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৭) “চন্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান”।– আদেশ পেয়ে হনুমান কি করেছিল?
উত্তর:- দেবী চন্ডীর আদেশ পেয়ে বীর হনুমান মঠ, অট্টালিকা ভেঙে খানখান করেছিল।
৮) “উঠে পড়ে ঘরগুলো করে দলমল”।।- এর কারণ কী?
উত্তর:- পর্বতের সমান নদীর ঢেউয়ের দাপটে কলিঙ্গদেশের বাড়িঘর জলে ভাসতে ভাসতে টলমল করছিল।
৯) চন্ডীর আদেশে নদনদী কী করে?
উত্তর:- চন্ডীর আদেশে নদনদীরা ছুটে যায়, আর চারদিকে তারা পর্বতের সমান ঢেউ তোলে।
